কুরআনের আয়াত
মুছে ফেলার পরিণতি - কুরআনের আয়াত কে বাদ দেয়া কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
একজন মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করে এটি একটি নিকৃষ্টতম
পাপ। এর মাধ্যমে বরকত উঠে যাবে।আল্লাহকে ভয়কারী প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়ে রয়েছে কোরআনের
প্রতি ভালোবাসা। মুসলিম নামধারী মোনাফেকরা
বারবার ইসলাম ও কুরআনকে অবমাননার চেষ্টা করেছে।
কুরআন অবমাননাকারীর
শাস্তি কি?
কুরআন অবমাননাকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ
ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।
﴿
وَيۡلٌ لِّكُلِّ اَفَّاكٍ اَثِيۡمٍۙ﴾
﴿
يَّسۡمَعُ اٰيٰتِ اللّٰهِ تُتۡلٰى
عَلَيۡهِ ثُمَّ يُصِرُّ مُسۡتَكۡبِرًا
كَاَنۡ لَّمۡ يَسۡمَعۡهَاۚ
فَبَشِّرۡهُ بِعَذَابٍ اَلِيۡمٍ﴾
‘দুর্ভোগ প্রত্যেক
ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ
মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’
(সুরা : জাসিয়া,
আয়াত : ৭-৮)
কুরআন থেকে মুখ
ফিরিয়ে নেয়ার পরিণতি কি?
সাহাবি আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) তাঁর ছাত্রদের বলেন,
‘জেনে রাখো, কোরআন (অনুসারীর পক্ষে ও অবমাননাকারীদের বিপক্ষে) এমন সুপারিশকারী, যার
সুপারিশ কবুল করা হবে। অতএব, যে কোরআনের অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে তা থেকে
মুখ ফিরিয়ে নেবে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’
(ফাজায়েলে কোরআন,
ইবনে কাসির : ১৫১ )
যা থেকে কুরআনের
আয়াত মুছে ফেলা হলো : -
প্রতিষ্ঠার তিন
দশক পর 'বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের' মনোগ্রাম থেকে পবিত্র কুরআনের সূরা ত্ব-হা-১১৪
নম্বর আয়াত
“রব্বি জিদনি ইলমা”
(হে প্রভূ, আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও) বাদ দিয়ে নতুন লোগো
উদ্বোধন করা হলো।
কী জঘন্য মানসিকতা
: -
কী জঘন্য এদের মানসিকতা! কুরআনের আয়াত বাদ দেয়া কোন
স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটি একটি নিকৃষ্টতম পাপ।
এ জঘন্য অপকর্ম টি পাপীদের পুরাতন অপকর্মের পুনরাবৃত্তি। ইসলাম,মুসলিম কুরআন-হাদিসের
বিরোধিতা এদের রক্তের সাথে মিশে আছে।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
: -
আবারও সেই পুরাতন অপকর্ম! ইতিহাস সাক্ষী -
১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে পবিত্র কুরআনের আয়াত বাদ দেয়া হয়েছিল!
২) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দের অপসারণ
করা হয়েছিল।
৩) কবি নজরুল ইসলাম কলেজের নাম থেকে ইসলাম বিতাড়ন করা
হয়েছিল!
৪)জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুসলিম শব্দের
অপসারণ করা হয়েছিল!
৫) শিক্ষাকারিকুলাম থেকে নবী রাসুলদের জীবনী অপসারণ করা
হয়েছে!
৬) মূর্খ জাতি বানানোর মাস্টার প্লানের শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র হচ্ছে!
কুরআনের আয়াত
মোছার কৌশল : -
আমজনতাকে অন্ধকার যুগের প্যাক- প্যাক, টিরিং টিরিং সাইকেল
চালানো,আলুর ভর্তা বানানো ও ফেরিওয়ালা বানানোর হাস্য-রশে মশগুল করে
'বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের'লোগো থেকে মুছে ফেলা
হলো পবিত্র কুরআনের আয়াত
“রব্বি জিদনি
ইলমা” (হে প্রভূ, আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও)
[সূরা ত্ব-হা-১১৪ নম্বর আয়াত]
আল্লাহর নূর
নিভাতে চায় কারা?
কাফের- মুশরিকরা আল্লাহর নূরকে চিরতরে নিভিয়ে দিতে চায়।
আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদান করবেনই, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।
এদের ব্যাপারে আল্লাহ এরশাদ করেন : -
﴿يُرِيدُونَ
لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ
وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ
كَرِهَ الْكَافِرُونَ﴾
এরা তাদের মুখের ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে
চায়৷ অথচ আল্লাহর ফায়সালা হলো তিনি তার নূরকে পূর্নরূপে বিকশিত করবেন৷ কাফেররা তা যতই
অপছন্দ করুক না কেন৷
﴿هُوَ
الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ
عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ
الْمُشْرِكُونَ﴾
তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং
‘দীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দীনকে অন্য সকল দীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা
মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন৷
(সূরা ছফ-৮-৯)
সফল হবে না ষড়যন্ত্র
কারীদের কৌশল :-
ইসলামের ভবিষ্যত কি তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে
না। ওহুদ যুদ্ধের পরে মানুষ তো তখন দিব্যি দেখছিল, এটা একটা নিভু নিভু প্রদীপ যা নিভিয়ে
ফেলার জন্য প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু সে নিভু নিভু আলো সারা আবরকে
আলোকিত করে। হযরত ওমর (রা.) এর খেলাফতকালে ইসলাম আরবের গন্ডি পেরিয়ে অর্ধ পৃথিবী আলোকিত
করে।
ইসলাম পালনকারীদের
অগ্নি পরীক্ষা : -
বর্তমান সময়ে ইসলাম পালনকারীদের উপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত
হচ্ছে। প্রতিদিনই নির্বিচারে গুলি করে শহীদ করা হচ্ছে,অনেককে গুম করে ফেলা হচ্ছে, বাড়ী-ঘর
ভাংচুর করা হচ্ছে।
নির্যাতন কারীরা মনে করছে এভাবে অত্যাচার করে ইসলামী
নিঃশেষ করে ফেলা যাবে।কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামের নূরকে
এই পৃথিবী থেকে কেউ নিভিয়ে দিতে পারবে না। বরং আল্লাহ এ নূরকে জ্বালিয়ে রাখবেন এবং
পূর্ণতা দান করবেন।
ইসলামের পতাকাবাহীদেরকে
এ কঠিন অবস্থায় ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা মাঝে-মধ্যে মু’মিনদের
উপর বিপদ-মুসিবত দিয়ে ঈমানের পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। আল-কুরআনে বানী-
﴿
وَلَنَبۡلُوَنَّكُمۡ بِشَىۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَالۡجُوۡعِ
وَنَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوٰلِ وَالۡاَنۡفُسِ
وَالثَّمَرٰتِؕ وَبَشِّرِ الصّٰبِرِيۡنَۙ﴾
অর্থাৎ- আর নিশ্চয়ই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের
ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানী হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করবো। এ অবস্থায় সবর কারীদের জন্য সুসংবাদ।(সূরা বাকারা-১৫৫)
কুরআন অমর্যাদাকারীদের
শাস্তি অবধারিত :-
যারা কোরআনের
অবমাননা করবে আল্লাহ তায়ালা তাদের কঠিন শাস্তি দেবেন। হাদিসে বলা হয়েছে, ... আর যারা
একে (কোরআন) অস্বীকার করবে, তারা দুনিয়ায় লাঞ্ছিত এবং পরকালে জাহান্নামে পতিত হবে।’
(মুসলিম, হাদিস
: ১৭৮২)
যারা ক্ষমতার শক্তি প্রয়োগ করে কুরআনের আয়াত মুছে ফেলে,
ইসলাম, মুসলিম,ও কোরআন- হাদিস সহ্য করতে পারেনা। তাদের বিচারের মামলা আল্লাহর আদালতে
পেশ করলাম।হে আল্লাহ!তুমি তোমার ক্ষমতা তাদের উপরে প্রয়োগ কর।জুলুম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার
জীবন থেকে মুক্ত কর মুসলিম উম্মাহকে,আমিন।
পোস্ট ট্যাগ
-
কিয়ামতের ১৪১ টি আলামত pdf , কুরআনের সবচেয়ে ভয়ংকর
আয়াত , কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই , কিয়ামতের আলামত ২০২৩ , কিয়ামতের দিন
কি হবে , কিয়ামতের ১৪১ আলামত , কিয়ামত সম্পর্কে বই কিয়ামত কত প্রকার