পেঁপে পাতায় থাকা পেপেইন ওষুধী গুণ সমৃদ্ধ। এতে জল ও ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি ডেঙ্গু
জ্বরে খুব উপকারী। শরীরে রক্তের প্লেটলেট বাড়াতে কাজ করে এবং জ্বর থেকে মুক্তি দিতে
সহায়তা করে। বেশি জ্বর হলে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন।
পেঁপে গাছের প্রায় প্রতিটি অংশই ব্যবহার করা যায়। পেঁপেতে
রয়েছে ভিটামিন ই, সি ও বিটা ক্যারোটিন। এর বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। পেঁপে পাতারও
উপকারিতা রয়েছে।
পেঁপে পাতার
বহু উপকারিতা: -
ইন্ডিয়ার জীবনধারা
ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট "বোল্ডস্কাইয়ের"এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁপে
পাতা স্বাস্থ্য, ত্বক ও হজমের জন্য খুব উপকারী।
এটি কারপেইনের মতো শক্তিশালী যৌগ খুশকি ও চুল পড়ার বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এটি পেট ফুলে
যাওয়া এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত ব্যাধি প্রতিরোধও অত্যন্ত কার্যকরী। নিন্মে পেঁপে পাতার কয়েকটি গুণ তুলে ধরা হলো।
১) ক্যানসারের
ঝুঁকি কমায়: -
এথনোফার্মাকোলজির জার্নালের গবেষণা অনুসারে পেঁপে পাতায়
থাকা এনজাইমগুলো
ক) লিভার ক্যানসার,
খ) ফুসফুসের ক্যানসার,
গ) অগ্ন্যাশয় ক্যানসার
ঘ) নারীদের বুকের বিশেষ অংশের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই
করতে পারে। এ পাতায় থাকা এসিটোজেনিন যৌগ অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান। পেঁপে পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান-
ঙ) প্রদাহ
চ) কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সহায়তা
করে।
২) লিভারের জন্য
উপকারী : -
ক) পেঁপে পাতার রস লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
খ) এ রস প্রতিদিন পরিমিত খেলে লিভারের অনেক সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়।
গ) জন্ডিস ও লিভার সিরোসিস হওয়ার ভয় থাকে না।
৪) ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে উপকারী : -
ক) পেঁপে পাতার রস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।
খ) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।
গ) এটি ইনসুলিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে রক্তে শর্করার
মাত্রা ঠিক থাকে।
ঘ)এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কিডনি ড্যামেজ হওয়া থেকে হেফাজত করে।
ঙ) পেঁপে পাতা
ফ্যাটি লিভারের জটিলতা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
৫) ত্বকের সমস্যা
দূর করে: -
ক) পেঁপে পাতার রসে ভিটামিন C ও A থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য
ভালো রাখে।
খ) পেঁপে পাতার রস ফ্রি রেডিক্যালের ক্রিয়াকে দমন করে।
গ) ব্রণসহ ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে পেঁপে পাতার রসের
জুড়ি নেই।
৬) চুলের যত্নে
পেঁপে পাতা: -
ক) ত্বকের পাশাপাশি চুল ভালো রাখতেও পেঁপে পাতার রস কাজ
করে।
খ) চুল পড়া বন্ধ করে।
গ) চুল পাতলা হয়ে যাওয়া আটকায়।
ঘ) খুশকি দূর
করতেও সহায়ক পেঁপে পাতার রস।
৭) ডেঙ্গু মোকাবিলায়
পেঁপে পাতার রস: -
ক) ডেঙ্গু মোকাবিলায় পেঁপে পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী।
ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কাউন্ট কমতে শুরু করে,
পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
খ) পেঁপে পাতার রস নারীর হরমোন ও মাসিকচক্র ঠিক রাখে।
গ) ঋতুকালীন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
৮) ঋতুকালীন ব্যথা
উপশম করে : -
পিরিয়ডের সময় পেটের যন্ত্রণা হয় প্রায় সব মহিলারই। পেঁপে
পাতার রস সেবন করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়। এ রস হরমোন এবং মাসিক চক্র ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
সারসংক্ষেপ:
-
স্বাস্থ্য সচেতন দেশের মানুষ গুলো পেঁপে পাতা সিদ্ধ করে নিয়মিত খাদ্যের সাথে গ্রহণ করছে। বিভিন্ন রোগের
আক্রমণ থেকে বাঁচতে তারা ন্যাচারাল ঔষধি গুণ
সমৃদ্ধ (গাছ -গাছড়া) বেশি সেবন করে থাকে। আসুন- "স্বাস্থ্য সচেতন হই, পেঁপে পাতা সেবন করি।
পোস্ট ট্যাগ
-
পেঁপে পাতার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া , পেঁপে পাতার
রস খেলে কি প্লাটিলেট বাড়ে , পেঁপে পাতার রস বানানোর নিয়ম , পেঁপে পাতার রস কিভাবে
খেতে হয় , পেঁপে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা , পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা , পেঁপে
পাতার রস কতটুকু খেতে হয় , পেঁপে পাতার ঔষধি গুন কি