ই-বুকের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিশ্বব্যাপী ই-বুক বিক্রি $56.2 বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।পাঠকদের জন্য দরকারী, আকর্ষণীয়,
দক্ষতা- জ্ঞান সমৃদ্ধ, চ্যালেঞ্জিংএবং ফলপ্রসূ লেখা এনে
দিতে পারে জীবনের সফলতার চাবিকাঠি।ই-বুকের তথ্যগুলিকে সুসংগঠিত এবং সহজে বোঝার মতো উপায়ে উপস্থাপন করতে
পারলে এ প্লাটফর্ম থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব ।
ই-বুক কি?
ই-বুক হচ্ছে একটি ডিজিটাল বই যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন,
ট্যাবলেট অথবা ই-রিডারে পড়া যায়। ই-বুক লেখা, ছবি, চিত্রলেখ ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত
হয়। ই- বুক গুলোকে সাধারণত ছাপানো বইয়ের
ইলেকট্রনিক সংস্করণ হিসাবে ধরা হয়।
ই বুকের সুবিধা
সমূহ : -
ইবুকের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।
১) ই-বুকগুলি
মুদ্রিত বইয়ের চেয়ে হালকা এবং জায়গা কম নেয়।
২) ই-বুক অনলাইনে কেনা ও ডাউনলোড করা যায়, ফলে সেগুলি
কিনতে ও পৌঁছাতে কোথাও যেতে হয় না।
৩) ই-বুক বিভিন্ন
ডিভাইসে পড়া যায়, এতে ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ ফিল করে।
ই-বুক লেখার
প্রয়োজনিয়তা কি?
ই-বুক লেখার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে নিম্নে কয়েকটি
উল্লেখ করা হলো : -
১) লেখার প্রতিভা শেয়ার করা: -
লেখক হিসেবে
আপনার প্রতিভা শেয়ার করতে ই-বুক হল একটি দুর্দান্ত
উপায়। লেখার মাধ্যমে অন্যদের সাথে আপনার জ্ঞান
এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।
২) বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন হয়: -
ই-বুক লিখলে নির্দৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে আরও গভীরজ্ঞান অর্জন হয়। গবেষণা এবং লেখার প্রক্রিয়া আপনার বিষয় সম্পর্কে
আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
৩) লেখার দক্ষতা উন্নত করা: -
ই-বুক লেখার দক্ষতা উন্নত করার একটি দুর্দান্ত উপায়। লেখার শৈলী, কাঠামো এবং ভাষা উন্নত করার জন্য।
৫) ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নেয়া: -
ই-বুকগুলি দর্শকদের সাথে সংযোগ করতে এবং আপনার ব্র্যান্ডের
পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করবে। লেখক হওয়া, লেখার
প্রতি আগ্রহী করা, লেখার প্রতিভা শেয়ার করা, লেখার দক্ষতা উন্নত করা এবং ক্যারিয়ারকে
এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।
ই বুক কিভাবে
লিখতে হয়?
ইবুক লেখা একটি সহজ প্রক্রিয়া, এটি লিখতে পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। নিন্মমুক্ত নির্দেশিকা অনুস্মরণ করুন: -
১) আইডিয়া নির্ধারণ করুন :
যে বিষয়ে ই-বুক
লিখতে চান সে সম্পর্কে চিন্তা করে টার্গেটকৃত
নির্দিষ্ট দর্শকদের চাহিদার আলোকে নতুন ধারণা
শেয়ার করুন।
২) গবেষণা করুন:
বিষয় সম্পর্কে
যতটা সম্ভব শিখুন। বই, নিবন্ধ, ওয়েবসাইট এবং
অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
৩) কাঠামো তৈরি করুন: -
ই-বুকের জন্য
একটি সু-সংগঠিত কাঠামো তৈরি করুন। বিষয়টিকে বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত করে প্রতিটি অধ্যায়ের জন্য একটি শিরোনাম এবং একটি সংক্ষিপ্তসার
লিখুন।
৪) সহজ ভাষায় লেখুন: -
ই-বুকের জন্য লেখা শুরু করুন। লেখার শৈলী এবং ভাষার উপর ফোকাস করুন। পাঠকদের জন্য সহজে বোঝার মতো উপায়ে আপনার ধারণাগুলি
উপস্থাপন করুন।
৫) সম্পাদনা করুন: -
ই-বুকটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, এটি সম্পাদনা করুন। লেখার ভুল- ত্রুটিগুলি সন্ধান করে সংশোধন করুন।
ই-বুকটিকে আরও আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ করার চেষ্টা করুন।
৬) প্রকাশ করুন: -
আপনার ই-বুকটি প্রকাশ করার জন্য একটি ই-বুক প্রকাশনা
প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন।Amazon
Kindle Direct Publishing, Barnes
& Noble Nook Press এবং Apple
Books সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দের টি।
কি বিষয়ে ই বুক লিখবেন?
কোন বিষয়ে ই-বুক লিখবেন তা নির্ভর করবে আপনার আগ্রহ,
দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। এমন একটি বিষয়
বেছে নিন যা আপনি পছন্দ করেন, সে সম্পর্কে
ভালো জানেন, আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ করতে
সক্ষম হবেন।
আপনার ই-বুক টি যদি দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার
সাথে সম্পর্কিত, বিশ্বাসযোগ্য ও তথ্যপূর্ণ তথ্যপূর্ণ হয় তাহলে পাঠকের কাছে তা সমাদৃত হবে এবং বিক্রি ও ভালো হবে।
কোন বিষয়ের
ই-বুক পাঠকরা বেশি কিনে?
পাঠকরা যে বিষয়গুলির উপর ই-বুক বেশি কিনেন তার মধ্যে
রয়েছে:
১) ব্যবসায়: -
ব্যবসায়িক ই-বুকগুলিতে
ক) ব্যবসায়িক কৌশল,
খ) বিপণন,
গ) বিক্রয়,
ঘ) নেতৃত্ব
ঙ) অন্যান্য ব্যবসায়িক বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য প্রদান
করা হয়।
২) প্রযুক্তি: -
প্রযুক্তি ইবুকগুলিতে
ক) কম্পিউটার,
খ) মোবাইল ডিভাইস,
গ) ইন্টারনেট
ঘ) অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য প্রদান
করে।
৩) শিক্ষা: -
শিক্ষামূলক ইবুকগুলিতে
ক) গণিত,
খ) বিজ্ঞান,
গ) ইতিহাস
ঘ) সাহিত্য বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে।
৪) স্ব-উন্নয়ন: -
স্ব-উন্নয়ন ই-বুকগুলিতে পাঠকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করার জন্য
তথ্য এবং নির্দেশিকা প্রদান করে।
৫) বিনোদন:
বিনোদনমূলক ইবুকগুলিতে
ক) গল্প,
খ) কবিতা,
গ) নাটক এবং
ঘ) অন্যান্য বিনোদনমূলক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করে।
ই-বুক কোথায় বিক্রি করবেন?
ই-বুক লিখে বিক্রি করার জন্য অনেকগুলি জায়গা রয়েছে।
এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় সাইড উল্লেখ করা হলো : -
১) Amazon Kindle Direct Publishing:- অ্যামাজন হল বিশ্বের
বৃহত্তম ইবুক বাজার। Kindle Direct Publishing হল একটি বিনামূল্যের পরিষেবা যা আপনার
ইবুকগুলিকে অ্যামাজনের Kindle Store-এ বিক্রি করতে দেয়।
২) Google Play Books: -
Google Play Books হল একটি জনপ্রিয় ইবুক ওয়েবসাইট ও
অ্যাপ। Google Play Books-এ আপনার ই-বুকগুলি বিক্রি করতে পারেন।
৩) Apple Books:-
Apple Books হল Apple ডিভাইসের জন্য একটি জনপ্রিয় ইবুক
স্টোর। আপনি Apple Books-এ আপনার ই-বুকগুলি বিক্রি করতে পারেন।
৪) Barnes & Noble Nook: -
Barnes & Noble Nook হল একটি জনপ্রিয় ইবুক স্টোর
যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। আপনি চাইলে
Barnes & Noble Nook-এ আপনার ই-বুকগুলি বিক্রি করতে পারেন।
৫) Smashwords: -
Smashwords হল একটি ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম যা আপনার
ই-বুকগুলিকে বিভিন্ন ইবুক স্টোরে বিক্রি করতে দেয়।
আপনার ই-বুকটিকে
আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটেও বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে ই-বুকের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ
দেবে এবং আপনি আপনার নিজের মত করে মূল্য নির্ধারণ
করতে পারবেন।
করণীয় : -
ই-বুক বিক্রি
শুরু করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি মানসম্পন্ন
ডিজিটাল ফর্ম্যাটে রূপান্তর করতে হবে। এটিকে
ই-বুক কনভার্টার ব্যবহার করে, করতে পারেন। একবার আপনার ই-বুকটি মানসম্পন্ন ফর্ম্যাটে হয়ে গেলে, এটিকে আপনার পছন্দের
প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন।
আপনার ই-বুকটি
প্রচারের জন্য কাজ করতে হবে। সামাজিক মিডিয়া, ব্লগিং এবং অন্যান্য অনলাইন মার্কেটিং
কৌশল ব্যবহার করে এটি করতে পারেন।
পোস্ট ট্যাগ
-
ঘরে বসে আয় করুন জয়িতা ব্যানার্জী pdf free
download , 10 minute school , ঘরে বসে আয়
করুন , ফ্রিল্যান্সিং হালাল ইনকামের খোঁজে pdf , স্মার্ট ফেসবুক মার্কেটিং pdf , হাতে
কলমে ফেসবুক মার্কেটিং , হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং , ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য দুনিয়ার
সব থেকে বড় গাইডলাইন , ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ইংরেজি বই