ডায়াবেটিস নিরাময়ের
প্রাকৃতিক উপায় -
ডায়াবেটিস চিকিৎসার
ভিত্তি হচ্ছে যথাযথ খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম। নিয়মিত পরিমিত ব্যায়াম ব্যায়াম রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরের
মেদের পরিমাণ ও রক্তের লিপিড কমায়। শারীরিক পরিশ্রম HbA1c নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ওজন হ্রাস ও নয়ত্রিত
একটি ডায়াবেটিক পথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়বেটিসের
বর্তমান চিত্র : -
বর্তমান বিশ্বে যে রোগগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
হয়ে দাঁড়িয়েছে তার মধ্যে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে। শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন
ইনসুলিনের অভাবে বা ইনসুলিনের কার্যকারীতা হ্রাস পাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসের
ঝুঁকিতে কারা বেশি?
১) অতিরিক্ত
মোটা ব্যক্তি যারা অধিক খাদ্য গ্রহণ করেন।
২) যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন না।
৩) যারা পরিশ্রম কম করেন।
৪) যারা খাদ্য গ্রহণ করে তা বার্ন করেন না
৫) কোন কোন ক্ষেত্রে পূর্ব পুরুষের এই রোগ থাকলে ডায়াবেটিস
হতে পারে,
৬) গর্ভকালীন
সময়েও এই রোগ হতে পারে।
এই রোগ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নিম্নে উল্লেখিত
উপায়গুলো মেনে চলতে পারেন।
১) সালাজিতঃ
শোধিত শিলাজতু
রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২) কুশতা খুবছুল
হাদীদঃ
আয়রন বা লৌহ
আমরা বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে পেতে পারি, আয়রন আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে
ভূমিকা রাখে।
ক) কচুশাক,
খ) কাঁচাকলা,
গ) ডালিম
ঘ) মৌরি
ইত্যাদি খাবারে
প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে , এই খাবার গুলো নিয়মিত খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
এবং রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে সহায়তা করে।
৩) কুশতা যমুররদঃ
পান্না পাথর
যে কোন মানসিক সমস্যায় বেশ উপকারী। এছাড়াও যেকোনো প্রকারের
ক) চর্মরোগ,
খ) কোষ্ঠ-কাঠিন্য
দূর করে,
গ) মাথা ঠান্ডা
রাখে
ঘ) ডায়াবেটিস নিরাময়েও সাহায্য করে।
৪) কুশতা মারওয়ারীদঃ
বাংলায় একে
মুক্তা বলে।
ক) মুক্তা
পাথর মনকে শান্ত করে,
খ) চোখের দৃষ্টিশক্তি
প্রখর করে,
গ) অনিদ্রা
থেকে মুক্তি দেয়,
ঘ) যেকোনো শারীরিক
অসুস্থতায় মুক্তা অনেক উপকারী।
ঙ) স্মৃতিশক্তি
এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মুক্তা ভূমিকা রাখে,
চ) ডায়াবেটিস
রোগের কারণে চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যার সমাধান দেয় এই মুক্তা।
সুতরাং দেখা
যাচ্ছে যে, ডায়াবেটিস নিরাময় করতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো আছে আমাদের
হাতের নাগালেই।
এই উপাদানগুলো
সংগ্রহ করে একসাথে সেবন করুন আর যদি এগুলো সংগ্রহ করে খেতে ঝামেলা মনে হয় তবে আপনার
নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে আজই সংগ্রহ করুন।
উপরের উল্লেখিত
উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে জাতীয় ইউনানী ফর্মুলা অনুসারে তৈরি ন্যাচারাল মেডিসিন গুলো হতে পারে আপনার ডায়াবেটিস নিরাময়ের প্রাকৃতিক
ঔষধ।
ন্যাচারাল পদ্ধতিতে
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা : -
১) ভাত, রুটি,আলু কার্বোহাইড্রেট বর্জন করা।
২) শাক-সবজি ও মাছ প্রচুর পরিমাণে খাওয়া।
৩) বাদাম জাতীয় খাবার বৃদ্ধি করা।
৪) সিদ্ধ ডিম ও ঘিয়ে ভাজা ডিম গ্রহণ করা।
৫)কম মিষ্টি
জাতীয় ফল খাদ্য তালিকায় রাখা।
উপসংহার :-
ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সচেতনতা এবং নিয়ম-কানুন
মেনে চলা জরুরী।নিয়মিত ও পরিমিত খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলা। গ্রহণ করা খাদ্যের বার্ন
করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করা। উপরে বর্ণিত নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে ন্যাচারাল
পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পোস্ট ট্যাগ
-
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় , ডায়াবেটিস
চিরতরে নিরাময় হবে , ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় , ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
, ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় , কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না , ডায়াবেটিস থেকে
মুক্তির উপায় , কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে