রাসুলূল্লাহর(সা.)
সালাত: -
১) মহানবী সাঃ প্রথমে صلاة الظهر
আদায় করেছিলেন।
২) তারপর আসর,
৩) মাগরিব,
৪) ইশা
৫) ফজরের সালাত আদায় করেন।
৫ ওয়াক্ত সালাতের
ইতিহাস: -
১. صلاة
الفجر
(ফজরের সালাত/নামাজ) -
প্রথমে বাবা আদম আ:পড়েছিলেন। তিনি যখন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে
এসেছিলেন তখন ছিল রাত।অন্ধকার কেটে যখন ফর্সা হলো তখন তিনি খুশিতে শোকরানা দুই রাকাত
সালাত আদায় করেন।
উপকারিতা: -
যারা এই দুই রাকাত সালাত আদায় করবেন তাঁরা কবর ও হাশরে
অন্ধকার থেকে নিষ্কৃতি পাবেন।
২.صلاة
الظهر(জোহরের
সালাত /নামাজ) -
হযরত ইব্রাহিম
আ: ابراهيم عليه السلام প্রথমصلاة الظهر আদায় করেছিলেন। তিনি যখন প্রিয়
পুত্র اسماعيل عليه السلام কে কুরবানী করেন তখন তিনি ৪ প্রকার চিন্তার সম্মুখীন
হন।
ক) আল্লাহ কেন ইসমাঈল আ: এর কুরবানী চাইলেন?
খ) তাঁর মা বিবি (هاجرة)
হাজিরাকে কী জবাব দিবেন?
গ) তাঁর মা পুত্র বিহীন নির্জনে একাকী কিভাবে বসবাস করবেন?
ঘ) কীভাবে কুরবানী করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন?
তখন মহান আল্লাহ
ইসমাঈলের (আ:) বদলে একটি দুম্বা জবেহ করে তাকে
উক্ত ৪ প্রকার পরীক্ষা থেকে চিন্তামুক্ত করলে। ইব্রাহিম আ: শুকরানা স্বরূপ ৪ রাকাত সালাত আদায় করেন।
উপকারিতা: -
যে জোহরের সালাত আদায় করবেন সে জান্নাতের মধ্যে ইব্রাহিম
আ: এর সঙ্গী হতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
৩. صلاة
العصر
(আসরের সালাত /নামাজ) -
আসরের নামাজ প্রথমে নবী ইউনুস আ: আদায় করেছিলেন। লোকেরা যখন ইউনুস আ: কে সাগরে ফেলে দিলেন তখন বিশাল একটি
মাছ নবীকে গিলে ফেললে তিনি ৪ প্রকার বিপদের সম্মুখীন হন।
১) পানির অন্ধকার
২) রাতের অন্ধকার
৩) পেটের অন্ধকার
৪) অন্য একটি বড় মাছ আগের মাছকে গিলে ফেললে তার অন্ধকার।
তখন নবী আ: ঐ ৪ প্রকার বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
পড়েছিলেন:لا إله إلا أنت
سبحانك إني كنت من
الظالمين
আপনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত সত্যিকারের কোন মাবুদ নেই । পবিত্রতা আপনারই,নিশ্চয়ই আমি ছিলাম জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।
ফলে আসরের সময় মাছ তাকে তীরে উগলে দেয়। তাই তিনি শোকরানা
স্বরুপ ৪ রাকাত সালাত আদায় করেন।
উপকারিতা:
-
কবর,হাশরের অন্ধকার, পুলসিরাত ও জাহাননাম থেকে মুক্তি
দিবেন।
৪. صلاة
المغرب
(মাগরিবের সালাত/ নামাজ) -
মাগরিবের সালাত
প্রথম আদায় করেছেন নবী يعقوب
عليه السلام -তিনি স্বীয় পুত্র নবী ইউসুফ
আ: এর জন্য কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে যান! ৪০ বছর পর দূত
তাঁর পরিহিত জামা নিয়ে ইয়াকুব আ: এর চোখের উপর রাখলে ৩ প্রকার নিয়ামত ফেরত পেলেন।
১) দৃষ্টি শক্তি ফিরে পান।
২) ইউসুফকে জীবিত পান।
৩) ইসলামের উপর কায়েম পান।
তাই তিনি শোকরানা ৩ রাকাত সালাত আদায় করেন।
উপকারিতা: -
এ সালাত আদায় করলে মহান আল্লাহ আদায়কারীর সকলনেক আশা
পূর্ণ করবেন, ইনশাআল্লাহ।
৫. صلاة
العشاء
(ইশার সালাত /নামাজ) -
ইশার নামাজ প্রথমে
মুসা আ: আদায় করেন। যখন ফেরাউন গোষ্ঠী মুসা আ: তাড়া করে নীল নদের পাড়ে পৌছলেন তখন ৪
প্রকার চিন্তার সম্মুখীন হন।
১. কীভাবে নীল নদ পার হবেন!
২.বনী ইসরায়েলকে কীভাবে পার করাবেন!
৩.ফেরাউন থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন!
৪.ফেরাউনের গোষ্ঠীকে কীভাবে শাস্তি দিবেন! বা ধ্বংস করবেন! মহান আল্লাহ তাকে ও তাঁর অনুসারীদের উক্ত ৪ প্রকার চিন্তার
অবসান ঘটালেন। তাই মুসা আ:
শোকরানা স্বরূপ ৪ রাকাত সালাত আদায় করলেন!
উপকারিতা: -
কেউ এই ইশার নামাজ নিয়মিত পড়লে মহান আল্লাহ তাকে মৃত্যু,
কবর,কিয়ামত ও জাহান্নামের বিপদ থেকে হিফাজত করবেন, ইনশাআল্লাহ।
(সূত্র: মিরাজের হাকিকত-খ.আবুল খায়ের যশোরী রহ:)
পোস্ট ট্যাগ
-
কোন নবীর উপর কোন নামাজ ফরজ হয়েছিল , নামাজ ফরজ হওয়ার
দলিল , ১৭ রাকাত ফরজ নামাজের দলিল , ৫০ ওয়াক্ত নামাজের ইতিহাস , ৫ ওয়াক্ত নামাজ মোট
কত রাকাত ফরজ , সালাত কেন আদায় করতে হয় , পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে আসলো , কোন দিনে
১৫ রাকাত নামাজ ফরজ