বিপদজনক মোবাইল রেডিয়েশন মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করছে,
অসুস্থ করে তুলছে হাজারো মানুষকে। এ অপরনীয়
ক্ষতি থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, যে, মোবাইল রেডিয়েশন থেকে
বাঁচার জন্য মোবাইলে কথা বলার সময় ফোনের Loudspeaker অথবা Earphone ব্যবহার করে মাথা ও শরীর থেকে মোবাইল কিছুটা দূরত্বে রাখতে। এর ফলে মোবাইল রেডিয়েশন থেকে
কিছুটা হলেও বাঁচা সম্ভব হবে।
এমন বিপদজনক পরিস্থিতিতে মোবাইল রেডিয়েশন বিকিরণের ক্ষতি থেকে বাঁচার কিছু কলাকৌশল
নিম্ন উপস্থাপন করা হলো : -
১) নিজেকে মোবাইল
থেকে দূরে রাখুন : -
মোবাইলের ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে প্রথমেই ফোন থেকে
নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে
Headphone বা Speaker ব্যবহার করে কথা বলে রেডিয়েশন এর ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই
এড়ানো যায়।
২) ঘুমানোর সময়
মোবাইল কোথায় রাখবেন?
ঘুমানোর সময় মোবাইল টি বালিশের নিচে না রেখে সুইচ অফ করে ৪/৫ ফিট দূরে রাখুন। অথবা রাতে ঘুমাবার
সময় মোবাইল ফোনটি মাথার কাছে না রেখে পায়ের কাছে রেখে দিন।
৩) বুক পকেটে
মোবাইল রাখা থেকে বিরত থাকুন :-
বুকের বাম পাশে বুক পকেটের স্থানটিতে রয়েছে মানুষের
হার্ট। অনেকেই বুক পকেটে মোবাইল রেখে নিজের হার্টের ক্ষতি করে মৃত্যু ডেকে আনছে। তাই
বুক পকেটে মোবাইল রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৪) সীমিত আকারে
মোবাইল ব্যবহার করুন : -
মোবাইল ফোন টি খুব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। খুব বেশি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা WhatsApp Chat বা
SMS করার মাধ্যমে সারার চেষ্টা করুন।
৫) মোবাইল টাওয়ার
রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকুন :-
মোবাইল টাওয়ার থেকে নির্গত বিকিরণ আমাদের শরীর ও মনের
উপর দারুন প্রভাব ফেলে। তাই মোবাইল টাওয়ার থেকে যতদূর সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
৬)
Loudspeaker বা Earphone ব্যবহার করুন : -
মোবাইল ফোনটিকে একটু দূরে রেখে ব্যবহার করার জন্য Loudspeaker বা
Earphone ব্যবহার করুন।ভয়েস কলে কথা কম বলে মেসেজ কিংবা Voice Message ব্যবহার করার
মাধ্যমে করার চেষ্টা করুন।
৭) মোবাইল ব্যাগে
রাখুন : -
মোবাইল হাতে বা পকেট এ না রেখে ব্যাগ ববহারের চেষ্টা
করুন। রাতে ঘুমাবার সময় মোবাইল ফোনটির Switched Off করে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
৮) আবদ্ধ ঘরে
কিংবা ধাতবের সংস্পর্শে ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন : -
আবদ্ধ ঘরে ও ধাতবের সংস্পর্শে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা এইরকম অবস্থায়
মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন সর্বাধিক হয়।
৯) লো ব্যাটারীতে বা লো নেটওয়ার্কে ব্যবহার না করা : -
Low Battery থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে অধিক পরিমাণে রেডিয়েশন
ছড়ায়। বিশেষ করে ফোনটির চার্জ ১৫% এর কম হলে চার্জ দিয়ে রাখুন নয়তো বা বন্ধ করে দিন।
১০) শিশু,গর্ভবতী নারী ও রোগীদের থেকে মোবাইল দূরে রাখুন
: -
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন খুবই ভয়ঙ্কর
রূপ নিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই
মোবাইল রেডিয়েশন তীব্রতায় গর্ভবতী নারীদের
গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রেডিয়েশনের
কারণে শিশু ও রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে
পড়তে পারে। তাই এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
১১) Anti-radiation chip ব্যবহার করুন: -
মার্কেটে
Anti-radiation chip যন্ত্র পাওয়া যায়
। এটি হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে
মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত রেডিয়েশন থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। তবে এটি এখনও বিজ্ঞানসম্মত কোন সার্টিফিকেট কিংবা সম্বোধন
পায়নি।
১২) ভাইব্রেশন মুড অফ রাখা: -
প্রয়োজন ব্যতীত
ভাইব্রেশন মুড অন রাখা থেকে বিরত থাকুন।
দীর্ঘসময় ভাইব্রেশন মোড অন রাখার কারণে মোবাইল
ফোনে রেডিয়েশন বেশি তৈরি হয়। তাই সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১৩) নিম্নমানের
হ্যান্ডসেট ব্যবহার না করা : -
নিম্নমানের হ্যান্ডসেট থেকে মারাত্মক রেডিয়েশন নির্গত
হয়। নিন্মমানের মোবাইল সেটে রেডিয়েশন বিকিরনের
বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসারে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। তাই হ্যান্ডসেট কেনার আগে
অবশ্যই সেই মডেলের ম্যানুয়াল বুক বা ওয়েবসাইট থেকে রেডিয়েশন লেভেল চেক করে নেয়া
উচিত।
উপসংহার : -
মোবাইল রেডিয়েশনের কারণে মানবদেহে সার্বিক কোষ বিভাজনগুলো
খুবই খারাপ ভাবে প্রভাবিত হয়। মানবদেহে বিভিন্ন রোগ ও ক্যান্সারের মত মারাত্মক ব্যাধি
তৈরি করে। অতএব মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়গুলো খেয়াল
রাখা উচিত।
পোস্ট ট্যাগ
-
মোবাইল রেডিয়েশন কি , দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত
, রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক , মোবাইলের রেডিয়েশন কতটা ক্ষতিকর , মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর
দিক থেকে বাঁচার উপায় , ফোনের রেডিয়েশন জানার উপায়