২) মোটরযানের নিবন্ধন সনদ
( ব্লুবুক),
৩) হালনাগাদ ট্যাক্স টোকেন।
৪) হালনাগাদ ফিটনেস সনদ
(মোটরসাইকেল ব্যতিত সকলের)।
৫) হালনাগাদ রুট পারমিট (বাণিজ্যিক মোটরযানের ক্ষেত্রে)।
কি কি কারণে জরিমানা করা হবে?
১) মোটরবাইক চালক ও পিলিয়ন যদি বেল্ট না বেঁধেই হেলমেট পরে ।
২) অবশ্যই হেলমেটের বেল্ট
বাঁধা থাকতে হবে।
৩) হেলমেটে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) সার্টিফিকেশন
বা আইএসআই (ISI) চিহ্ন থাকতে হবে
মোট কথা সার্টিফাইড হেলমেট পড়তে হবে। এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে জরিমানা করা হবে।
** মোটর ভেহিকেলস আইন- ১৯৯৮ এর ১৯৪ডি ধারা অনুযায়ী,
ধারা :-১৪২,এ বলা হয়েছে, "আইনানুগ সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা লঙ্ঘন করলে-জরিমানা হবে। =৩০০/-(তিন শত)টাকা মাত্র।"
ধারা : -১৪৬, এ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যে, "দূর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ করিলে-জরিমানা হবে =৫০০/-(পাচ শত)টাকা মাত্র।"
ধারা : -১৪৯- এ ধারায় রয়েছে যে, "যানবাহনের হেড লাইট, ব্যাক লাইট, ইন্ডিকেটর, ব্রেক লাইট, লুকিং গ্লাস, রিয়ার মিরর (পেছনে দেখার আয়না), ওয়াইপার না থাকিলে বা ক্রটিযুক্ত থাকিলে, যানবাহলে আনসেইফ লোডিং থাকিলে, মটর সাইকেলে ২ জনের বেশি আরহন করিলে, চালকের পাশে বা ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করিলে, হেলমেট ব্যবহার না করিলে-জরিমানা হবে =৩০০/-{তিন শত)টাকা মাত্র"।
আমরা ফিলিস্তিনকে ভালোবাসি কারণ ...
১) সংশোধিত আইন অনুযায়ী, কোনো জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে ব্যর্থ হলে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে এ জরিমানার পরিমাণ ছিল ২ হাজার টাকা।
২) যোগ্যতা হারানো কোনো চালক গাড়ি চালালেও ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
৩) মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
৪) চলমান অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। আগে এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হতো এক হাজার টাকা।
৫) ক্রসিংয়ে লাল সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালালে জরিমানা ৩ হাজার টাকা। আগে যা ছিল =৫০০-/ টাকা।
৬) গাড়ির গতির ঊর্ধ্বসীমা না মানলে জরিমানা ১-২ হাজার টাকা। আগে এর জরিমানা ছিল= ৪০০-/ টাকা।
৭)কোনো নাবালক গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
৮) ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালালে জরিমানা ৫ হাজার টাকা।
৯) বীমার কাগজের প্রত্যায়িত কপি গাড়িতে না রেখে রাস্তায় গাড়ি বের করলে জরিমানা ২ হাজার টাকা। বর্তমানে আইনে কোন জরিমানা আরোপ করা হয়নি।
১০) সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালালে জরিমানা এক হাজার টাকা।
১১) গাড়িতে ওভার লোডিং করলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
১২) দু’চাকার গাড়ি (মোটর বাইক, স্কুটি) আরোহী হেলমেট না পরলে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা।
১৩) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে ন্যূনতম জরিমানা ২ হাজার টাকা।
১৪) অন্য দিকে লাইসেন্স নীতি না মানলে সর্বোচ্চ জরিমানা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একই সঙ্গে হতে পারে তিন বছরের কারাভোগ।
১৫) ক্ষতিকর ধোয়া নি:স্বরণ হলে জরিমানা হয় কি?
হ্যাঁ হয়। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর
ধারা-১৫০: যে সকল যানবাহন হইতে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন ধোয়া বাহির হইলে-জরিমানা হবে =২০০/-টাকা মাত্র।
ধারা-১৫১: -
ক) অস্বচ্ছ, রঙ্গীন, কালো গ্লাস ব্যবহার করিলে,
খ) ট্রিনটেড পেপার ব্যবহার করিলে,
গ) ফিটনেস সার্টিফিকেটের
সহিত গাড়ির রংয়ের মিল না থাকিলে,
গ) গাড়ির টায়ার পরিবর্তন
করিলে,
ঙ) সরকার নির্ধারিত রং
ব্যতিত অন্যকোন রং ব্যবহার করিলে,
চ) বিআরটি. এর অনুমতি ছাড়া গাড়ির রং পরিবর্তন করিলে।
ছ) মালিকানা পরিবর্তন না করিলে-জরিমানা হবে =১,২৫০/-টাকা
মাত্র।
ধারা-১৫২: - এ ধারায় বলা হয়েছে যে, রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট (যে সকল যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য) না থাকিলে, ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ হইলে, রুট পারমিটের শর্ত অমান্য করিলে, সিএনজি চালিত অটোরিকসা, ট্যাক্সিক্যাব এর চালক গন্তব্যস্থলে যাত্রী বহনে অস্বীকার করিলে, অনটেষ্ট, এপ্লাইড রেজিষ্টেশন (এ এফ আর), ড্রাইবার ব্যতিত আট আসন বিশিষ্ট গাড়ির রুট পারটিম না থাকিলে, গ্যারেজ নাম্বার দিয়ে গাড়ি চালাইলে-এ ধরণের প্রতিটি অপরাধের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে =৭০০/-টাকা মাত্র জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।
ধারা-১৫৩: - এ ধারায় বলা হয়েছে যে, লাইসেন্স ব্যতিত কিংবা প্রবিধান লংঘণ পূর্বক গাড়িতে এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োজিত থাকিলে-জরিমানা হবে =১৫০/-টাকা মাত্র।
ধারা-১৫৪: - যানবাহনের ওজন, মালসহ ওজন, নির্ধারিত ওজনের চেয়ে অতিরিক্ত থাকিলে-জরিমানা হবে =৫০০/-টাকা মাত্র।
ইস্যুরেন্স না করা থাকলে কি এখন জরিমানা হয়?
ধারা-১৫৫: - এ ধারায় বলা হয়েছে যে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট না থাকিলে, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেটে মেয়াদ শেষ হইলে-জরিমানা হবে =৫০০/-টাকা মাত্র।
আইন-আদালত মেনে চলা সকলের জন্যই মঙ্গল।যান-বাহন ট্রাফিক আইন মেনে চললে এত দূর্ঘটনা ঘটতো না। বেঁচে যেত হাজারো মানুষের জীবন। যানবাহন মেরামতে খরচ করতে হতো না হাজার হাজার কোটি টাকা। তাই আসুন সকলে মিলে গড়ে তুলি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা।