Notification texts go here Contact Us Download Now!

স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা সমূহ

স্মার্ট ফোনের সুবিধা ও অসুবিধা, স্মার্টফোন ব্যবহারের অসুবিধা, মোবাইল ফোন এর সুবিধা, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দি
Informative Desk
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা কি ?
 ব্যাক্তি,পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়  দক্ষতা উন্নয়নে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি কর্ম পরিবেশের সহায়ক ।

বর্তমান সময়ে, mobile phone বলতে সেই শক্তিশালী smartphone device কে বোঝায় যা একটি computer এর মতো শক্তিশালী এবং যেগুলোর দ্বারা multitasking, multimedia, Internet, processing, video chatting ইত্যাদি প্রচুর কাজ করা সম্ভব।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা, সুবিধা এবং গুরুত্ব আমাদের জীবনে কতটা বেশি তার বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে পেশ করা হলো : -


১) যোগাযোগের মাধ্যম :-
মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো, “এটি যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম”।এর মাধ্যমে  বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে বন্দু-বান্ধব, প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী  সহ প্রায় প্রত্যেকের সাথেই তাৎক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

আধুনিক মোবাইল গুলো ব্যবহার করে voice calling ও live video calling এর মাধ্যমে দূরে থাকা ব্যক্তি বা প্রিয়জনকে ভিডিওর মাধ্যমে দেখতে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব।

২) খবর (news) : -
যে কোন সময় latest news  বা তাজা খবর পেতে মোবাইল একটি উত্তম  মাধ্যমে। Live news channel, YouTube, news website, news apps ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তাজা খবর আপনার সামনেই থাকছে।

৩) ছোট এবং সুবিধাজনক : -
মোবাইল ফোনের আকার অনেকটাই ছোট যা সহজেই পকেটে, হাতে বা ব্যাগে বহন করা যায় এবং জরুরি মুহূর্তে ব্যবহার করা যায়।

মোবাইলের মধ্যে থাকে rechargeable battery  ঘর থেকে এক বার ভালো করে চার্জ দিয়ে  অনেকটা সময় ব্যবহার করা যায়।

৪) ছবি এবং ভিডিও : -
জরুরী সময়ে প্রয়োজনীয় ছবি তুলা এবং ভিডিও রেকর্ড করা প্রত্যেকের জীবনের একটি  গুরুত্বপূর্ণ বিয়য় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্মার্টফোনের মাধ্যমে DSLR camera র মতোই স্পষ্ট এবং হাই কোয়ালিটির সুন্দর ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করা যায়।

প্রফেশনাল সুন্দর সুন্দর ছবি তুলা ও ভিডিও রেকর্ড করার জন্য মোবাইল ফোনই যথেষ্ট।

৫) জিপিএস (GPS) : -
মোবাইলের মধ্যে থাকা জিপিএস (GPS) সুবিধার মাধ্যমে যেকোনো জায়গা, রাস্তা, হোটেল, বিল্ডিং ইত্যাদি খুঁজে পাওয়া যায়।

Google maps এর মতো আরো অনেক এপস মোবাইলে দেওয়া থাকে যেগুলো GPS এর মাধ্যমে লোকেশন (location) বা রাস্তা খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

৬) মাল্টিটাস্কিং : -
বর্তমানে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি এতটাই উন্নত ও আধুনিক যে  এটি কম্পিউটারের মতোই শক্তিশালী।

কম্পিউটারের মতোই  মোবাইল গুলোতে শক্তিশালী প্রসেসর,  RAM,ইন্টারনাল স্টোরেজ স্পেস এবং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট থাকে।

এর ফলে মোবাইলের মাধ্যমে জটিল কাজ গুলো করার সাথে সাথে  মেসেজ করা, ইন্টারনেট ব্যবহার ও এপ্লিকেশন ইত্যাদি একসাথে ব্যবহার করা যায়।

৭) ইন্টারনেট : -
অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধু বানানো,  নতুন ব্যক্তির সাথে পরিচিত হওয়া, অনলাইনে কেনা-কাটা করা, অনলাইনে ব্যবসা করা, ভিডিও কলিং, চ্যাটিং,  ভিডিও দেখা ইত্যাদি সব ধরনের কাজ করা যায়।

৮) ভিডিও কলিং:-
আজকাল মোবাইলের মধ্যে ফ্রন্ট এবং ব্যাক দুটো ক্যামেরাই দেওয়া থাকে । আর এই ফ্রন্ট ক্যামেরার মাধ্যমে  ভিডিও কলিং করা যায় ।

আগের মোবাইলে কেবল voice calling এবং text SMS করাটা সম্ভব ছিল। বর্তমানে মোবাইল থেকে live video calling করে প্রিয়জনের সাথে video chatting এর মাধ্যমে কথা বলা যায়।

৯) মোবাইল ব্যাংকি : -
বর্তমানে  ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে  বসে mobile banking এর মাধ্যমে প্রায় প্রত্যেক banking transaction করা যায় ।

মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা পাঠানো, টাকা গ্রহণ করা, NEFT, ডেবিট কার্ড এপ্লাই, চেক বুক এপ্লাই সহ সব কাজই করা সম্ভব।

পূর্বে ব্যাংকে গিয়ে কাজগুলো করতে হতো।এতে সময় নষ্ট হতো, কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিজের ঘরে বা দপ্তরে  বসেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়া যায় ।

১০) টর্চ লাইট (Flash light) :-
অন্ধকারে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা করে একটি টর্চ লাইইটের প্রয়োজন  হতো।

কিন্তু এখনের প্রায় প্রত্যেক মোবাইল গুলোতে টর্চ লাইটের সুবিধা থাকে। যার ফলে অন্ধকারে কিছু খুজা বা অন্ধকার রাস্তায় চলতে অনেক সাহায়ক হয়। মোবাইলে টর্চ লাইট থাকায় আলাদা  টর্চ রাখার ভেজাল করতে হয়না।

১১) টেক্সট এবং নোট : -
মোবাইলে বিভিন্ন রকমের  ওয়ার্ড এবং টেক্সট প্রসেসিং এপ্লিকেশন থাকায় বিভিন্ন ধরণের লেখালেখির কাজ করা যায় ।

যেমন,জরুরি হিসাব, তালিকা, নোট তৈরি করা, আর্টিকেল লিখা, এক্সেল বা ওয়ার্ড ফাইল এডিট করা  ইত্যাদি।

যেকোনো জায়গাতে বসে নিজের জরুরি প্রেসেন্টেশন, এক্সেল বা ওয়ার্ড ফাইল গুলোকে এডিট করার সুযোগ রয়েছে । ব্যবসা বা দপ্তরের কাজ-কামে  একটি মোবাইল ডিভাইসের গুরুত্ব অনেক বেশি।

১২) লাইভ টিভি : -
smartphone বর্তমানে  টিভি (TV) হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখে নেয়া যায় । মোবাইলের screen size অনেক বড় এবং HD হওয়া কারণে মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো জায়গার থেকে টিভি দেখাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।

১৩) শিক্ষা ও গবেষণা : -
বর্তমান সময়ে নতুন কিছু শিখা বা গবেষণার ক্ষেত্রে মোবাইল অনেকটা সহায়ক। নতুন বিষয়ে গবেষণা করা,আর্টিকেল দেখা, তথ্য সংগ্রহ করা,স্কুল এবং কলেজে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস করিয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

অনলাইন ক্লাস এর বাইরে কিছু কিছু জায়গাতে মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া ও নেওয়া হচ্ছে। তাই, মোবাইল ফোন  অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস বা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৪) মোবাইল দিয়ে ইনকাম : -
ঘরে বসে মোবাইলে কাজ করে ইউটিউব, ব্লগিং  করা, ডাটা এন্ট্রির কাজ করে  অনেকেই টাকা ইনকাম করছেন।

পার্ট-টাইম টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রেও কিন্তু একটি মোবাইল ফোনের প্রচুর ভূমিকা রয়েছে।

১৫) এপ্লিকেশন (apps) :-
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতোই  বিভিন্ন এপস (apps) ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং, ভয়েস রেকর্ডিং, একাউন্টিং, স্ক্রিন রেকর্ডিং ইত্যাদি প্রায় সব কাজই করার জন্য  এপস রয়েছে।

১৬) অনলাইন শপিং : -
বাজারে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে শপিং করা অধিক পছন্দের। এ ক্ষেত্রে মূলত ইন্টারনেট ও মোবাইলের ভূমিকা রয়েছে।

জিনিসটি অর্ডার করা থেকে শুরু করে ডেলিভারি ট্র্যাকিং সবই মোবাইল থেকে করা যায় ।তাই, অনলাইন কেনা-কাটা করার ক্ষেত্রে  মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।

মিটার রিচার্জ,  বিল পেমেন্ট,বিদ্যুৎ বিল, পানির  বিল, বিভিন্ন ধরণের পেমেন্ট গুলো মোবাইল থেকে অনেক সহজেই করা যায়।

১৭) রিমোট ওয়ার্কিং (Remote working) : -
smartphone গুলোতেও computer এর মতো শক্তিশালী processor, RAM, storage এবং GPU ব্যবহার করা হয়।

তাই, অনেক জটিল এবং ভারী কাজ গুলো নিজের mobile device থেকে করাটা  সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দপ্তরের বাইরে বসে বা নিজের ঘর থেকে অথবা অন্য জায়গার থেকে নিজের কাজ গুলো মোবাইল এর মাধ্যমে রিমোট ভাবে করে ফেলতে পারেন।

সার কথা : -
দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং ব্যবহারের মাধ্যমে সকলেই উপকৃত হচ্ছে। আধুনিক যোগের সকল সুবিধা, উপকারিতা এবং গুরুত্ব  এ আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। “importance of mobile phone  এর গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা যদি এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত  করতে পারি তাহলে আমাদের ব্যাক্তি, সমাজ, পরিবার, ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।


পোস্ট ট্যাগ -
স্মার্ট ফোনের সুবিধা ও অসুবিধা, স্মার্টফোন ব্যবহারের অসুবিধা, মোবাইল ফোন এর সুবিধা, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো, মোবাইল ফোনের সুবিধা ও অসুবিধা রচনা, স্মার্টফোনের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের উপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.