কুরআন সত্য বাণী এটা আবারো গবেষণায় প্রমানিত - আসলে কুরআন নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই অবাক হচ্ছেন।আধুনিক
জ্ঞান বিজ্ঞানের গবেষণায় কুরআনের প্রত্যেকটি আয়াতই সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। সুরা ইয়াসিন এর ২ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
বলেন,
﴿ وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَكِيۡمِۙ﴾ বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।
শুধুমাত্র বর্তমান যুগের জ্ঞান- বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় নয়, পৃথিবী
যতদিন টিকে থাকবে এমন কি কেয়ামত পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের জন্য কুরআনের কাছে হাত
পেতে বসে থাকতে হবে।
বিজ্ঞান গবেষণায় কুরআন
আল্লাহর বাণী চির সত্য প্রমাণিত : -
ইতিপূর্বে কোরআনের অনেক আয়তই বিজ্ঞানের গবেষণায় সত্যে প্রমাণিত
হয়েছে। সম্প্রতি গ্লোবাল ইনডেক্সের গবেষণায় পবিত্র কুরআনের ৯৪ নাম্বার সূরা আলাম
নাশরাহ বা আল-ইনশিরাহ এর ৪ নাম্বার আয়াত এবং ১০৮ নাম্বার সূরা আল-কাউসারের ৩ নাম্বার
আয়াত দুটি গবেষণায় সত্যে প্রমাণিত হওয়ায়
পৃথিবীব্যাপী বিজ্ঞানীদের মধ্যে হই চই পড়ে গেছে। সত্য ধর্ম হিসেবে ইসলাম গ্রহণের গতি
প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
ইসলাম প্রচারে প্রাথমিক
পর্যায়ে জুলুম নির্যাতন চলাকালী সময়ে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বড় ছেলে কাসেম রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এবং ছোট
ছেলে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু মারা যাওয়ার পর আস ইবনে ওয়ায়েল,আবু জেহেল,আবু
লাহাব সহ মক্কার কাফেররা সর্দাররা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিঃর্বংশ,
লেজ কাটা বলে অপপ্রচার শুরু করে। তখন আল্লাহ তা'আলা সূরা কাউসার নাযিল করে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সান্তনা দেন।
এই সূরার ৩ নং আয়াত : -
﴿ اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ
الۡاَبۡتَرُ﴾
অর্থ : - তোমার দুশমনই আবতার, শিকড় কাটা।
আবার সূরা ইনশিরাহ এর ৪ নংআয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদা সমন্বিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন,আল্লাহ এরশাদ
করেন : -
﴿ وَرَفَعۡنَا لَكَ ذِكۡرَكَؕ﴾
অর্থাৎ : -আর তোমার জন্য তোমার খ্যাতির কথা বুলন্দ করে দিয়েছি।
অর্থাৎ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সম্মান, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সবার উপরে স্থান পাবে।
গ্লোবাল ইনডেক্স এর রিপোর্ট
: -
সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা(Global index) গ্লোবাল ইনডেক্সে এর গবেষণায় উঠে এসেছে পৃথিবীতে
সর্বাধি জনপ্রিয় ১ম নাম "মোহাম্মদ"সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্তমান
পৃথিবীতে "মোহাম্মদ" নাম ধারণকারীর সংখ্যা ১৩৩৩৪৯৩০০
- রিপোর্ট -
Most Popular First
Names In The World :
Mohammed নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 133,349,300
Maria নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 61,134,526
Nushi নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 55,898,624
Jose নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 29,946,427
Wei নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 17,145,807
Ahmed নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 14,916,476
Yan নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 14,793,356
Ali নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 14,763,733
John নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 14,323,797
David নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 13,429,576
Li নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 13,166,162
Abdul নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 12,163,978
Ana নাম ধারণকারীর সংখ্যা - 12,091,132
অপপ্রচারকারী কাফের নেতাদের
বর্তমান অবস্থা : -
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর বিরোধিতা কারি ইসলামের শত্রু কাফির মুশরিকরা আজ নিঃর্বংশ। বর্তমান পৃথিবীতে তাদের
বংশের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না,কেউ থাকলেও পরিচয় প্রকাশ করে মান সম্মান হারাতে
চায়না। আবু জেহেল, আবু লাহাব এমন নাম ধারণকারী বর্তমান পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
কোরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরোধিতা কারীরা লেজকাটা বা নির্বংশ
হয়ে যাবে এটিই চিরসত্য।
"মুহাম্মদ"(সা.)
এর নামই সর্বাধিক জনপ্রিয় শ্রেষ্ঠ মর্যাদার:-
আল্লাহর বাণী চিরসত্য প্রমাণিত হয়েছে। "মুহাম্মদ" (সা.)এর
নাম আজ পৃথিবীর প্রতিটি দিনে,প্রতিটি মুহূর্তে,প্রতিটি সালাতে,এমনকি প্রতিটি মানুষের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় নাম।সাইয়্যেদ, আব্বাসী, আনসারী,
হাসেমী ইত্যাদি নামে অসংখ্য বংশ বর্তমানেবপৃথিবীতে রয়েছে ।এগুলো মুহাম্মদ (সা.) এর
নাম ও বংশ মর্যাদার প্রতীক হিসেবে আজ সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত।
উপসংহার: -
গ্লোবাল ইনডেক্সের গবেষণায় মুহাম্মদ (সা.) এর নাম শীর্ষস্থানে
উঠে আসায় প্রমাণিত হলো, সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার নবী 'মুহাম্মদ'
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম সুউচ্ছে পৌঁছার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারই উজ্জ্বল নমুনা। অতএব কুরআন যে সত্যিই আল্লাহ প্রদত্ত বানী এবং মুহাম্মদ (সঃ) প্রকৃত সত্য নবী ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী তারই অকাট্য প্রমান। নবী "মুহাম্মদ" (সা.)কে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বাধিক
প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, আমিন।
পোস্ট ট্যাগ -
কুরআনের শ্রেষ্ঠ বাণী, কুরআন কি সত্যিই আল্লাহর বাণী, কোরআন হাদিসের
বাণী, আল কোরআনের বানী, কোরআন কার বাণী, সৃষ্টিকর্তার বাণী, কুরআন কি, আল্লাহর সৃষ্টি