২) ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
৩) দরুদ পাঠ কারীর জন্য দশটি নেকি (পুণ্য) লিখা
হয়।
৪) দুরুদ পাঠ কারীর জন্য ১০টি গুনাহ নিশ্চিহ্ন করা হয়।
৫) দরুদ পাঠ কারীর দুআ কবুলের আশা করা হয়।
৬) তাঁর উপরে দরুদ পঠে শাফায়াত পাওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
৭) গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাওয়ার কারণ।
৮) দরুদ পাঠ কারীর চিন্তা দূরীভূত করার জন্য আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।
৯) দরুদ পাঠকারী আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে নিকটে হবে।
কু-সংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের প্রচলিত কথা
১০) দরুদ পাঠ করা অসচ্ছলদের সাদকা করার সমতুল্য।
১১) দুরুদ পাঠ করা প্রয়োজনসমূহ পূর্ণ করার একটি কারণ।
১২ দরুদ পাঠ করার কারণে আল্লাহ তাআলা তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন ও ফারিস্তা তার জন্য দুআ করেন।
১৩) দুরুদ পাঠ করা যাকাত স্বরূপ ও তার জন্য পবিত্রতা অর্জন করার স্বরূপ।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে মুসলমানের দান করার সামর্থ্য নেই সে যেন দোয়ায় বলে-
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَ رَسُوْلِكَ وَ صَلِّ عَلَى
الْمُؤمِنيْنَ وَالْمُؤمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ
এটা তার জন্য জাকাত (সদকা) হিসেবে গণ্য হবে।(ইবনে হিব্বান)
১৪) দরুদ পাঠ কারী তার মৃত্যুর পূর্বেই জান্নাতের সুসংবাদ পায়।
১৫) দরুদ পাঠ করা কিয়ামত দিবসের ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাঁচার একটি উপায়।
১৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুরুদ ও সালাম পাঠকারীর উত্তর দেন।
১৭) বান্দার দরুদ পাঠের মাধ্যমে ভুলে যাওয়া জিনিস স্মরণে আসে।
১৮) যে মজলিসে দরুদ পাঠ হয় সে মজলিসে অংশগ্রহণকারী কিয়ামত দিবসে অনুতাপ, আফসোসের সম্মুখীন হয় না।
১৯) দরুদ পাঠের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হয়।
২০) দরুদ পাঠকারী জান্নাতের পথে থাকে।
২১) দরুদ পাঠের মাধ্যমে এমন মজলিসের দুর্গন্ধ থেকে নাজাত পাওয়া যায় যে মজলিসে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কোন আলোচনা করা হয় না।
২২) দুরুদ পাঠের মাধ্যমে সেই কথা পূর্ণ হয় যে কথা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তার রাসুলের উপরে দরুদ পাঠের মাধ্যমে শুরু করা হয়।
২৩) -দরুদ পাঠের মাধ্যমে বান্দা সরল পথের উপরে সবিচল থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো পায়।
২৪) -দরুদ পাঠের মাধ্যমে বান্দা কঠোরতা, নির্দয়তা থেকে বেরিয়ে আসে।
২৫) দরুদ পাঠের কারনে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আসমান ও জমিনের মাঝে তার ভালো গুনগানকে স্থায়ী করেন।
২৬) -দরুদ পাঠের কারণে দরুদ পাঠ কারীর জীবনে, বয়সে, আমলে, ও তার কল্যাণসমূহ অর্জনের উপায়ে বরকত তথা বৃদ্ধি হয়।
২৭) দরুদ পাঠ করা আল্লাহর রহমত পাওয়ার অন্যতম কারণ।
২৮) দরুদ পাঠের কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে স্থায়ী ভালবাসায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়।
২৯) - নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিকিরের সময় তাঁর উপরে দরুদ পাঠে কৃপণতা দূর হয়।
৩০) -নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বদ দুআ থেকে বাঁচার উপায়।
৩১) -তার উপরে দরুদ পাঠ করার কারণে বান্দা হিদায়াত পায় ও তার অন্তর সজিব থাকে।
৩২) দরুদ পাঠের মধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হক আদায় করা হয়।
৩৩) -তাঁর উপরে দরুদ পাঠের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাবারক তায়ালার কাছে দুআ করতে গিয়ে তার খলিলের ও প্রিয় বান্দা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসা করে ও তাঁর সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করে এবং তার জিকিরকে অগ্রাধিকার দেয় ও সমুন্নত করে।
৩৪) -তাঁর উপরে দরুদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাবারাক ওয়াতায়ালার স্বরন ও তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা হয় এবং তিনি বান্দাদের উপরে রাসূলকে প্রেরিত করে কত বড় পুরস্কৃত করেছেন তা জানা হয়।
৩৫) তাঁর উপরে দরুদ পাঠে সরল পথে অবিচল ও তার উপরে টিকে থাকার সম্ভাব্যতা পাওয়া যায়
৩৬) দরুদ পাঠের মাধ্যমে দরুদ পাঠ কারীর নাম নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে পেশ করা হয় ও তার আলোচনা করা হয়।
৩৭) দরুদ পাঠের কারণে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম দরুদ পাঠকারীকে ভালোবাসেন।
উম্মত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরুদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল উভয়েরই স্বরণ করে বিধায় উভয়েরই নৈকট্য লাভ করা যায়। তাই আসুন দরুদ পাঠের আমল নিয়মিত করে দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য অর্জন করি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের সৌভাগ্যের সব রহমত বরকত মাগফেরাত লাভে বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।