বিদেশে উচ্চ শিক্ষার তথ্য ও করণীয় ( পর্ব -১ )

ব্রিটিশ সেভেনিং স্কলারশিপ: -

যুক্তরাজ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি জন প্রিয় স্কলারশিপ হল, "ব্রিটিশ সেভেনিং স্কলারশিপ"। এ স্কলারশিপের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রত্যাশীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যে ২০২৪- ২৫ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৭ নভেম্বর২০২৩।

ইংরেজি ভাষা শিক্ষা জরুরী কেন?

"শেভেনিং মাস্টার্স স্কলারশিপ" ১৯৮৩ সাল থেকে ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের অর্থায়নে যাত্রা শুরু করে। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপের আওতায় যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিশ্বের ১৪৪ টি দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন এমন যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণদের - বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ দেয় শেভেনিং বৃত্তি। এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর কোর্স করার সুযোগ পাওয়া যায়।এ বৃত্তি পেলে যুক্তরাজ্যের ১৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর জন্য অধ্যায়ন করতে পারবে।

বৃত্তি প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের-

১) সামাজিক দক্ষতা,

২) নেতৃত্ব দানের অভিজ্ঞতা,

৩) নিজ দেশ ও সমাজের উপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়।

৪) বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ২ বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।

সুযোগ-সুবিধা :-

শেভেনিং স্কলারশি একটি ফুল পান্ডেড স্কলারশিপ। বাংলাদেশ থেকে ৩৮০ জনেরও বেশি সেভেনিং বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করছেন।

সুবিধা সমূহ : -

১) সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে

২) মাসিক বৃত্তি প্রদান করবে

৩) দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া আসার ভ্রমণ ব্যয় প্রদান

৪) যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর ভাতা প্রদান

৫) ভিসা আবেদনের ফি প্রদান

৬) যুক্তরাজ্যে শেভেনিংন এর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য ভ্রমণ ভাতা প্রদান করা হয়।

জাতির উন্নতির সোপান সু-শিক্ষা

আবেদন যোগ্যতা : -

১)আবেদনকারীকে সেভেনিং স্কলারশিপের আওতাভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।

২) বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দু'বছর কাজের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

৩) নিজ দেশে স্নাতক ডিগ্রী সম্পূর্ণ হতে হবে।

৪) অন্তত দু'বছর (২৮০০ ঘন্টা) কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

**) যারা আবেদন করতে পারবে না : -

১) ব্রিটিশ বা ডুয়েল ব্রিটিশ নাগরিক হলে আবেদন করা যাবে না।

২) যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে আগে যুক্তরাজ্যে পড়াশুনা করলে আবেদন করা যাবে না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : -

১) ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশ পত্র।

২) পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয় পত্র।

৩) সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ।

আবেদন প্রক্রিয়া : -

অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে ভর্তির 'অফার লেটার' সংযুক্ত করতে হবে।