জাহান্নামী ৬ নারীর
জীবনাচার - জান্নাত মুমিনের চিরস্থায়ী আবাস্থল। মুমিনরা জান্নাতের ওয়ারিশ,
আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও পুরস্কার হিসেবে মোত্তাকিরা তা লাভ করবে । তবে দুনিয়াতে
আল্লাহর বিধানমতে না চললে পরকালীন অশান্তি আর জাহান্নাম অবধারিত হয়।দুনিয়ার এই সংক্ষিপ্ত
সফর ই জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারণের কৃষি ক্ষেত্র।আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকেই তার কর্মফল
দিবেন, চাই সে নারী হোক বা পুরুষ। তবে নারীদের জান্নাতে যাওয়া আল্লাহ অনেক সহজ করেছেন।
রাসূল (সঃ) এরশাদ করেন: -
১) যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে।
২) রমযানের রোযা রাখবে।
৩) স্বীয় গুপ্তস্থানকে হেফাজত করবে- ( পর্দা রক্ষা করে এবং ব্যভিচার
থেকে বিরত থেকে)।
৪) স্বামীর আনুগত্য করবে।
এমন নারীর জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে, যে দরজা দিয়ে
ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। ( তিরমিযী ও তাবরানী)
আবার নারীদের কিছু কার্যকলাপ তাদেরকে জাহান্নামী করে তুলবে।
নারীদের সতর্ক বার্তা:-
রাসুল সা. নারীদের সতর্ক করে বলেছেন,
"হে নারীগণ! তোমরা দান-সদকা করো। বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিকহারে দেখেছি।"
এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন (যার নাম ছিল জাযলা)
প্রশ্ন করলেন,
-হে আল্লাহর রাসুল(সা.)! আমাদের কেন এ অবস্থা? কেন জাহান্নামে আমরা
বেশি সংখ্যায় যাবো? রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, ‘তোমরা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ ও বেশি অভিশাপ দাও'।
দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখী নারীকেও দেখা যায়, তারা স্বামীর প্রতি
অনেক সময় চরম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অনেক সময় সামান্য বিরক্ত হলে নিজ সন্তানদেরও অভিশাপ
দিতে ছাড়ে না। নারীদের জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এ দুটো স্বভাব পরিহার করা অবশ্যক।
আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলার উদ্দেশ্য
এটাই। তিনি নারীদের স্বভাব সংশোধন করার জন্যই এ কথা বলেছেন। নারীদের খাটো করা বা তাদের
ভূমিকা অবমুল্যায়নের জন্য বলেননি। (মুসলিম হাদিস ৭৯)
জাহান্নামী ৬ নারীর সাথে আপনার মিল আছে কিনা দেখে নিন। যদি মিল থাকে তবে পরিহার করুন। তওবা করে ফিরে
আসুন ইসলামের ছায়াতলে। একবার তওবার দরজা বন্ধ
হয়ে গেলে, সেই সুযোগও আর থাকবে না।
আসল জীবন পরকাল তাই আসুন, পরকালমুখী হই।
একবার আলী রাদিয়াল্লাহু
আনহু ও ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবীজী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দেখা
করতে এসে দেখেন যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাকী বসে কাঁদছেন!
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ-"ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক।
আপনি কাঁদছেন কেন?"
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তখন জানালেন যে, মিরাজের রাত্রিতে আমি আমার উম্মতের নারীদেরকে জাহান্নামের
ভয়ানক আজাবে গ্রেপ্তার দেখতে পেয়েছি, তারপর নবীজি (সাঃ) নারীদের শাস্তির লম্বা
হাদিস বর্ণনা করলেন: - ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাদের গোনাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে নবীজী
(সাঃ) বলেন: -
তারা হলো: -
১) ঐ নারী যে মাথার চুল খুলে বেপর্দা হয়ে ঘর থেকে বের হয়। জাহান্নামে এরা নিজের মাথার চুল দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে এবং
ওই সময় তার মাথার মগজ ফুটন্ত,পানির ন্যায় টগবগ করে ফুটবে।
২) ঐ নারী যে তার স্বামীর অবাধ্য হয়,স্বামীকে কটুকথার মাধ্যমে কষ্ট
দেয় এবং স্বামীকে সম্মান, করে না। এরা স্বীয় জিহ্বায় ঝুলন্ত
অবস্থায় থাকবে অর্থাৎ মুখ গহবর থেকে জিহ্বা টেনে বের করে সমস্ত শরীরের ওজন জিহ্বার
উপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
৩) ঐ নারী যে বিবাহিত হয়েও
পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখে। জাহান্নামে এরা স্বীয় স্তনে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে, অর্থাৎ সমস্ত
শরীরের ওজন স্তনের উপর ছেড়ে দেয়া হবে।
৪) ঐ নারী যে অপবিত্র হওয়ার
পর,পবিত্রতা অর্জনে অলসতা করে এবং নামাজে অমনোযোগী হয়। এরা নিজ পদযুগল বক্ষে এবং
হস্তদ্বয় ললাটে, আবদ্ধ অবস্থায় জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে।
৫) ঐ নারী যে মিথ্যা কথা বলে, কুফরী করে এবং গীবত করে। জাহান্নামে এদের চেহারা
শুকরের মত ওর শরীর গাধার মত হবে অসংখ্য সাপ-বিচ্ছু দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে।
৬) ঐ নারী যে অন্যের সুখ
দেখে হিংসা করে এবং উপকার করে খোঁটা দেয়।
আল্লাহ আমাদের মুসলিম নারীদের হেফাজত করুন। জাহান্নামের
ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা করুন আমাদের সবাইকে। আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর দেখানো পথে
চলার তাওফিক দিন। আমিন।
পোস্ট ট্যাগ-
জাহান্নামে যাওয়ার কারণ, মানুষকে সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে নেয়
কোন জিনিস, জাহান্নামে কাদের সংখ্যা বেশি হবে এবং কেন, নারীরা কেন বেশি জাহান্নামে
যাবে